
এবার আকাশে উড়বে দুই চাকার বাইক!আর এই ফ্লাইং বাইকটি তৈরি করছেন চেক প্রজাতন্ত্রের একদল ইঞ্জিনিয়ার। এ বছরের অগাস্ট মাসেই টেস্ট ফ্লাইটের কথা রয়েছে ছয় প্রপেলারের এই বাইকটির। খবর গিজম্যাগ-এর।
সূত্র জানিয়েছে, ইলেকট্রিক বাইসাইকেলটির ডিজাইন শুরু করেছিলেন চেক কোম্পানি টেকনোড্যাট, ইভেক্টর এবং ডুরাটেক-এর ইঞ্জিনিয়াররা ২০১১ সালে। ধীরে ধীরে ইলেকট্রিক বাইসাইকেলের ওই ডিজাইনটিই রূপ নেয় ফ্লাইং বাইক বা ‘এফবাইক’-এর ডিজাইনে। ইঞ্জিনিয়াররা বাইকটি ডিজাইনে ব্যবহার করেছেন থ্রিডি টেকনোলজি।
মাটিতে যে কোনো সাধারণ বাইসাইকেলের মতোই চলবে এই বাইকটি; আবার উড়তেও পারবে হেলিকপ্টারের মতো করেই। বাইকটিরপ্রথম দিককার ডিজাইনে আটটি প্রপেলার থাকলেও ওজন কমাতে দুটি প্রপেলার ডিজাইন থেকে বাদ দেন ইঞ্জিনিয়াররা।
বাইকটিতে উড়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাবে লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। বাইকটি সামনে এবং পেছনে থাকবে ১০ কিলোওয়াটের কম্প্যাক্ট মোটর চালিত ১৩০০ মিলিমিটার ডায়ামিটারের দু’টি টুইন প্রপেলার এবং দুপাশে ব্যালান্সের জন্য থাকবে ৩.৫ কিলোওয়াটের স্ট্যাবিলাইজার মোটর চালিত ৬৫০ মিলিমিটার ডায়ামিটারের আরও দু’টি প্রপেলার।
মাটিতে চলার সময় ডিসকানেক্ট করা থাকবে বাইকটির মোটরগুলো আর দুপাশের প্রপেলার গুলো ৯০ ডিগ্রি ঘুরে থাকবে যেন চালক সহজেই রাস্তায় চালাতে পারেন এটি। আর মাটি ছেড়ে আকাশে উড়তে চাইলে বাইকটির ব্যাটারিগুলো চার্জ করে নিতে হবে। এতে সময় লাগবে ৩ থেকে ৫ মিনিট। আকাশে উড়তে চাইলে ৯০ ডিগ্রি ঘুরে নিজেরজায়গায় ফিরে আসবে সাইড প্রপেলারগুলো। প্রতিবার চার্জ করার পর ৩০ থেকে ৫০ মিনিট আকাশে উড়তে পারবে বাইকটি।
তবে এই ফ্লাইং বাইকটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার কোনো ইচ্ছা নেই বলেই জানিয়েছেন এর ইঞ্জিনিয়াররা। মূলত প্রচারণার জন্যই বাইকটি তৈরি করছেন তারা। অগাস্ট মাসেই হবে ফ্লাইং বাইকের প্রথম টেস্ট ফ্লাইট।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment