
ল্যাপটপ চুরি করতেই আপন খালাতো বোন শিশু সাদিয়া ও তার দাদী বৃদ্ধা মোমিনা খাতুনকে খুন করে মাহবুব। ঘটনার৫ দিন পর আবার ওই বাসার নিরাপত্তার জন্যই তাকে নিয়ে আসা হয়। তখনও কেউ বুঝতে পারেনি সে-ই খুনি।
খালার বাসা থেকে ল্যাপটপ চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার পথে খালাতো বোন সাত বছরের সাদিয়া দেখে ফেললে তাকে শ্বাসরোদ্ধ করে এবং তার চিৎকারে দাদী এগিয়ে এগিয়ে এলে রড দিয়ে গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় মাহবুব।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের দশদিন পর বুধবার র্যাব-৯ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খুনের ঘটনা বর্ণনা দেন আটককৃত সুনামগঞ্জের ইব্রাহীমপুর গ্রামের শফিকুল হকের ছেলে মাহবুব আলম (১৯)।
র্যাব-৯ এর একটি দল চুরি হওয়া ল্যপটপ ও মোবাইলফোনের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার খাদিমপাড়ার দলইপাড়া গ্রামের ওই বাসা থেকে তাকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয় তার অপর সহযোগী জকিগঞ্জের মাদারখাল গ্রামের শুকুর মিয়ার ছেলে মো. রুহুল আমীন রানাকে। রানা এই খুনের ঘটনা সম্পর্কে জানতো এবং মাহবুবের কাছ থেকে সে ল্যাপটপটি ৮ হাজার ৭শ টাকা দিয়ে কেনে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৯ কার্যালয়ে মাহবুব জানায়, গত ৯ জুন দুপুর ১টার দিকেবাসায় একা ছিল তার খালাতো বোন সাদিয়া ও সাদিয়ার দাদী মোমেনা খাতুন। ল্যাপটপটি চুরি করে ঘর থেকে পিছন দিয়ে বের হতে গেলই দেখে ফেলে সাদিয়া।
সে জানায়, সাদিয়া দেখে ফেলায় তার মুখ চেপে ধারে শ্বাসরুদ্ধ করলে ও মাথায় আঘাত করলে নিথর হয়ে মাটিতে পড়ে যায় সাদিয়া। এটা দেখে দাদী মোমেনা খাতুন এগিয়ে এলে তাকেও রড দিয়ে গলায় আঘাত করি। এরপর ল্যাপটপ ও বাসার মোবাইল ফোনটিও চুরি করে পালিয়ে যাই।
ওইদিনই একই এলাকার সুরমা গেইট বিআইডিসিতে রানার কাছে ৮ হাজার ৭ শ টাকায় ল্যাপটপটি বিক্রি করে সে। আর মোবাইলফোনটি সুনামগঞ্জের নিজ গ্রামে এক কলেজ ছাত্রের কাছে এক হাজার টাকা দামে বিক্রি করে।
র্যাব-৯ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন খুন হওয়া সাদিয়ার মা ও বাবা।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment