Monday, June 25, 2012

মায়া হরিণ

Leave a Comment
মায়া-মাখা চোখ দুটোর জন্যই হয়ত
প্রকৃতি প্রেমী মানুষরা এর নাম দিয়েছিল
মায়া হরিণ । আমাদের বাংলাদেশের
যে কটি হরিণ পাওয়া যায় তার
মধ্যে মায়া হরিণ আকারে ছোট । শরীর ৯০
সেমি. চকচকে মসৃণ লালচে লোমে আবৃত । লেজ ছোট ১৭ সেমি. কালচে রঙ্গা ।
মায়া হরিণের কপাল হতে শিং পর্যন্ত
কালচে V আকৃতির রেখা আছে । পুরুষরে ছোট
আকারের শিং হয় স্ত্রীর শিং হয় না ।
এরা পাতা , ঘাস মাঝে মাঝে গাছের বাকল
খায় । সঙ্গীকে খুঁজবার জন্য বা বিপদের আশঙ্কা করলে অনেকটা কুকুরের-মত
করে থেমে থেমে ডেকে ওঠে । সমতল ভূমির
বন, পাহাড়ি বন এমন কি নোনাপানির
বাদা বনেও মায়া হরিণ থাকতে পারে। বাংলাদেশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল
গুলোতে মায়া হরিণের বাস। সিলেট
অঞ্চলের লাউয়াছড়া, সাতছড়ি চট্টগ্রামের
পাহাড়ি বনে এবং সুন্দরবনেও মায়া হরিণ
আছে। সন্ধ্যা ও ভোররাতের দিকে এদের ডাক
শোনা যায় বেশি। আমাদের সব-গুল বনই লোক বসতির গাঘেসে। ফলে কখনোবা ফাঁদ
পেতে কখনোবা হরিণ বনের
বাহিরে চলে এলে তার ফিরে যাওয়া প্রায়
অনিশ্চিত । উৎসুক মানুষের
হাতে মারা পরে মায়া হরিণ ।
আমরা প্রায়ই সংবাদ পত্রগুলোতে দেখে থাকি এই খবর । আমাদের
বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে বন দিন দিন
হচ্ছে বিলীন । ফলে বাসস্থানের অভাবে ও
অবৈধ শিকারের ফলে মায়া হরিণ
অতি বিপন্নের তালিকায় । এভাবে হয়ত
দিনে দিনে হারিয়ে যাবে মায়াময়ী চোখের করুন চাহনি ।

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment