Saturday, May 26, 2012

কুমির সম্পর্কে কিছু তথ্য

Leave a Comment

আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন আপনারা?আজ আপনাদের কে জানাব কুমিরের সম্পর্কে।আসুন জেনে নেই।
কুমিরঃ
¤কুমিরের ইংরেজি নাম ক্রোকোডাল।এসেছে গ্রিক শব্দ হতে।যার অর্থ টিকটিকি।কুমিরকে একসময় ডাকা হতো নীলনদের টিকটিকি।
¤প্রাচিন মিশরিয়রা কুমিরকে ভয় পেত,শ্রদ্বা করতো।নিউ গিনিতে কিছু উপজাতি আছে যারা কুমিরকে দেবতা মেতে পূজা করে।
¤কুমিরের চোয়লের জোর পৃথিবীর সব প্রাণীর চেয়েও অনেক গুন বেশি।
¤কুমির লেজের মধ্য ছর্বি জমিয়ে রাখতে পারে।খাবার না পেলে তা দিয়ে ছালায় অনেকদিন।
¤কুমিরের পিঠের চামড়া এত শক্ত যে বর্শা,ধনুক এমনকি গুলি পর্যন্ত থামিয়ে দেয়।
কুমির সম্পর্কে আরো কিছু তথ্যঃ
কুমির একটি বৃহদাকার জলজ সরীসৃপ , যেটি আফ্রিকা , এশিয়া , আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বাস করে। কুমির ক্রোকোডাইলিডে গোত্রভুক্ত
যে কোন প্রজাতির সাধারণ নাম। কুমির
সাধারণত মিঠাপানির নদী , হ্রদ, জলাভূমি এবং কখনো কখনো লোনা পানিতেও বাস
করে। এরা সাধারণত মাছ , সরীসৃপ , স্তন্যপায়ী ইত্যাদি মেরুদন্ডী প্রাণী শিকার করে থাকে। কুমির
উৎপত্তি অতি প্রাচীন
কালে এবং ধারণা করা হয় ডাইনোসর যুগের
পর এরা অল্পই পরিবর্তিত হয়েছে।
বৈজ্ঞানিকদের মতে, এরা প্রায় ২০
কোটি বছর প্রাচীন, যেখানে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছে ৬.৫ কোটি বছর পূর্বে;
অর্থাৎ কুমির বৃহৎ বিলুপ্তির পর্যায়গুলো পার হয়ে এসেছে। [১] নাম ভারতীয় কুমীর = মগর (Crocodylus
palustris palustris)। মকর = গঙ্গাদেবীর কুমীরের মত
দেখতে পৌরাণিক বাহন। সংস্কৃত "কুম্ভীর"
শব্দটি থেকে "কুমীর" এসে থাকলেও
"কুম্ভ" হয়তো ঘড়িয়ালের নাকের ডগার
ঘড়া। সে অর্থে কুম্ভীর ঘড়িয়াল । অ্যালিগেটর ও কেইম্যান
(অ্যালিগেটরিডে পরিবার) ও ঘড়িয়াল (গাভিয়ালিডে) হল কুমীরের
(ক্রোকোডিলিডে পরিবার) জাতভাই -সবাই
ক্রোকোডিলিয়া বর্গের অন্তর্গত। এই বর্গ আর্কোসরিয়াদের একমাত্র জীবিত
বংশধর- অন্যভাগ ডাইনোসররা বহুদিন অবলুপ্ত। ক্রোকোডিলিয়া বর্গের বিশেষত্ব পিঠের চামড়ার ভিতর হাড়ের মত শক্ত
পাত (osteoderms)। বড় তুণ্ড, চোয়াল সজোরে বন্ধ হয় কিন্তু
খোলার পেশী তত জোরালো নয়। ঘাড় বিশেষ বাঁকাতে পারেনা। জিভ মুখের বাইরে বার করতে পারেনা।
জিভের নিচে প্রধান লবন রেচন
গ্রন্থি। বিশাল লেজ পাশাপাশি চ্যাপ্টা-
সাঁতারের প্রধান অঙ্গ, ও লড়াইয়ের
অস্ত্র। পিঠে দুইসারি কাঁটা পায়ুর
কাছাকাছি এসে একটি সারিতে পরিণত
হয়। চার পা, হাঁসের মত লিপ্তপদ (web
footed) ডুব দেবার সময় কান বন্ধ করতে পারে। মুখবিবর ও নাসিকাপথ আলাদা করার
জন্য দ্বিতীয় তালু (টাকরা/
secondary palate)- তাই
মুখে খাবার নিয়েও সহজে শ্বাস
নিতে পারে। একমাত্র সরীসৃপ যার চারকক্ষ হৃৎপিণ্ড
(ভ্রণাবস্থায় পুরো পৃথক হবার পর
অলিন্দদ্বয়ের মধ্যের দেওয়ালে আবার
সামান্য ফাঁক তৈরি হয়- ফোরামেন অফ
প্যানিজ্জা। জলে ডুব দেবার সময়
এটি খোলা হয়- তখন রক্ত ফুসফুসে যায়না। একমাত্র সরীসৃপ যার দাঁত
স্তন্যপায়ীদের মত হাড়ে শেকর-
গাঁথা (thecodont dentition)। নিকটতম জীবন্ত আত্মীয়রা সরীসৃপ নয়, পাখী। কুম্ভীরাশ্রু কুমীর কাঁদে না। কুম্ভীরাশ্রু (crocodile
tears) শব্দটি কপট কান্না অর্থে ব্যবহৃত
হয়|
সবাই ভাল থাকবেন।
সূত্রঃRIYADHHOSSEN.blogspot.com

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment