Wednesday, May 30, 2012

টিকটিকি সম্বন্দে কিছু কথা

Leave a Comment


কোনো কথা বলার পর টিকটিকি(House
Gecko) আওয়াজ(টুক টুক…..) করলে সবাই
বলতো ‘কথা সত্য’ তাই টিকটিকি সায়
দিচ্ছে ।সত্য কথা আর মিথ্যে পারথক্য
যদি টিকটিকি নিরনয়
করতে পারতো তাহলে হয়তো বিচারপতি আসনে কোনো নামকরা টিকটিকি বসে মার্ডার কেসের আসামির ভাগ্য নির্ধারন করে দিতো!!
আবার
শুক্রবারে একটা টিকটিকি মারলে নাকি নেকী পাওয়া যায়!!
তবে কি আমরা শুধু
টিকটিকি মেরে বেহেশতে চলে যেতাম না??
যাই হোক এসব ছোট বেলার কুসংস্কার। এখন দেখি বড় বেলা কি বলে?? টিকটিকি আসলে ডাকে কোন সময়? বিষয়টা, অনেকটা ব্যাঙ-এর কাহীনীর সাথে মিল
আছে। মেয়ে ব্যাঙ বর্ষাকালে প্রজনন
তথা বংশ বৃদ্বি করার জন্য ‘বিশেষ ডাক’
দিয়ে ছেলে বাঙ-কে আকৃষ্ট করে।
টিকটিকি ঠিক একই কাজ করে। আমরা একটু
খেয়াল করলে দেখবো টিকটিকি যখন ডাকে তখন দুইটা টিকটিকি এক
সাথে থাকে বা কাছাকাছি থাকে। কখনও একা একটা টিকটিকি ডাক দেয়
না(দিবে কিভাবে আপনজন পাশে নাই!)! আরো একটা মজার বিষয় হলো; টিকটিকি ডাক
দেওয়ার সময়ের আগে বা পরে লেজ প্রচন্ড
আকারে লেজ নাড়াতে থাকে। সম্ভবত
উত্তেজনা থেকে এমন হয়। টিকটিকি সম্পর্কে কিছু সাইন্টেফিক তথ্যঃ টিকটিকি সাধারনত সাড়ে সাত থেকে পনের
সেন্টিমিটার(তিন থেকে ছয় ইঞ্চি)
লম্বা হয়। এটির জীবনকাল প্রায় পাঁচ বছর।
টিকটিকির কপাল অবতল এবং এর কানের
খোলা অংশ ছোটো ও গোলাকার। এতি গায়ের
রঙ ধূষর, অতি হালকা গোলাপী অথবা বাদামী হতে পারে এবং দেহে ডোরাকাটা দাগ
থাকে।টিকটিকির লেজ বাহিরের দিকে চিঁকন
হয়ে গেছে এবং এটি অত্যান্ত অন্নুনত, যা অল্প
আঘাতে খসে পড়ে। টিকটিকি অতি মসৃন
দেয়ালে চলা ফেরা করতে পারে, কারন
এটি যখন পা ফেলে তখন পায়ের নিচে বায়ু শূন্য হয়ে যায় এর পায়ের গঠনের জন্য।
ফলে পা দেয়ালে আঁটকে থাকে এবং এই
আঁটকে থাকার উপর শরীরের ভর
দিয়ে টিকটিকি অনায়াসে চলাফেরা করে।
টিকটিকির রক্ত সাদা।সবাই ভালো থাকবেন।

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment