Tuesday, April 16, 2013

ইসলাম বনাম সেকুলারিজম

Leave a Comment

সেকিউলারিজমের উত্‍পত্তি ইউরোপে।উনবিংশ শতকে একজন ইংরেজ চিন্তাবিদ সেকিউলারিজমকে একটা বিশ্বজনীন আন্দোলনে রূপ দিতে চেষ্টা চালান।এরা নিজেদেরকে সেকিউলারিষ্ট,ধর -্মবিমুক্ত চিন্তাবিদ পরিচয় দিয়ে আত্নপ্রকাশ করেন।

ইউরোপের পাদ্রীদের মনগড়া মতামতের সাথে যখন গবেষক ও বৈজ্ঞানীকদের গবেষনালব্ধ মতামতে দন্দ্ব দেখা দিল এবং তারই ভিত্তিতে পাদ্রীদের উত্‍খাত করার জন্য"গীর্জা বনাম রাষ্ট্রের লড়াই"নামক দু'শ বছর ব্যাপী রক্তহ্ময়ী সংগ্রাম পরিচালিত হল।তখন স্বংস্কারবাদীরা -একটা আপোষ রহ্মার জন্য মার্টিন লুথারের নেতৃত্বে প্রস্তাব দিল যে ধর্ম মানুষের ব্যাক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ থাকুক আর সমাজের ও পার্থিব জীবনের সর্বহ্মেত্রে নেতৃত্ব রাষ্ট্রের উপর ন্যাস্ত থাকুক।
এখান থেকেই মূলত ধর্ম নিরপেহ্মতার যাত্রা শুরু হয়।এর পর থেকে খৃষ্টান ধর্ম যাজকদের সমাজ এবং রাষ্ট্রিয় জীবনে প্রভাব কমে যায়।ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন ধর্মীয় প্রবনতা থেকে মুক্তি পায়।
ধর্ম নিরপেহ্মবাদী আদর্শকে মুলত নাস্তিক্যবাদের উত্তম বিকল্প হিসাবে অভিহিত করা যায়।
ধর্ম নিরপেহ্মমতবাদীর -া সবসময় নাস্তিক্যবাদীদে -র সাথে ওতপ্রোতভাবে জরিত রয়েছে শুরু থেকেই।ধর্ম নিরপেহ্মবাদী নেতা ব্রডলেফ এর মতে"ধর্মীয় আকিদা বিশ্বাস প্রতিহত করায় হচ্ছে সেকিউলারিজমের বা ধর্মনিরপেহ্মবাদ -ীদের কর্তব্য।

ইসলামে ধর্মনিরপেহ্মতা একটি কূফরী মতবাদ।কারন ইসলামের ধর্মের ব্যপকতায় রাজনীতি শিহ্মা,ব্যবসা,স -ামাজিক আচার আচরন সবকিছুই আওতাভূক্ত।ইসলাম -ে এমন কিছু নেই যা অনুপস্হিত।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে"আমি তোমাদের প্রতি নাযিল করেছি এই কিতাব যা সবকিছুর সুস্পষ্ট বর্ণনা হেদায়েত রয়েছে"(সূরা নাহলঃ১৬:৬৯)
আল্লাহ পাক সূরা আনআমের ৩৮ নং আয়াতে আরো বলেন"আমি এই কিতাবে কোন কিছু বর্ণনা করতে ছেড়ে দেয়নি।
ইসলাম মানবজাতির জন্য শাশ্বত আদর্শ রেখে গেছেন।

তবে কেন এই ৯০% মূসলিমের দেশে এই ধর্মনিরপেহ্ম মতবাদ চাপিয়ে দেয়া?
জনগনের কল্যান সাধন জনগনের মতামত কে প্রাধান্য দেয়াই যদি হয় গনতন্ত্রের উদ্দেশ্য তবে ৯০% মুসলিম জনগনের মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে আপনারা কার মনোরন্জনে ধর্মনিরপেহ্মতা কায়েম করছেন জাতি জানতে চায়.

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment