সী লেভেলের ৪০০ মিটার বা ১৩২০ ফিট
নিচে ও ইসরায়েলের পূর্বাংশে অবস্থিত
ডেড সী বা মৃতসাগর পৃথিবীর
সর্বাপেক্ষা নিম্নবর্তী স্থান
হিসেবে পরিচিত। ডেড
সী বা মৃতসাগরকে মৃত বলার কারণ হচ্ছে এই সাগরে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জাতীয়
অণুজীব ছাড়া কোন মাছ ও জলজ
প্রাণী বাঁচে না।
সাধারনত দেখা যায় মৃত
মানুষেরা পানিতে ভেসে থাকে আর
জীবিতরা ডুবে যায়। কিন্তু ডেড সী এর
একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সাগরে কোন
জীবিত মানুষ ডুবে যায়না। এর কারন
হচ্ছে ডেড সী এর লবন। অন্যান্য মহাসাগরে লবনের পরিমান যেখানে ৫-৬%
সেখানে ডেড সীতে লবনের পরিমান
২৫-৩০%। লবনের এই অতিরিক্ত
উপস্থিতি ডেড সী এর পানির ঘনত্ব
বাড়িয়ে দেয়।
অপরদিকে জীবিত মানুষের
শরীরে যে চর্বি থাকে তার ঘনত্ব ডেড সীর
পানির ঘনত্ব অপেক্ষা অনেক কম হয়ে থাকে।
মানুষের শরীরের এই কম ঘনত্ব পানির
প্লবতা বলকে বাড়িয়ে দেয়। প্লবতা বা Buoyancy হচ্ছে কোন তরল
পদার্থে অন্য কোন পদার্থ নিমজ্জিত
করলে তরল পদার্থ কর্তৃক উপরের দিকে এক
প্রকার বল প্রয়োগ করে এবং ওই পদার্থের
ওজনকে বাঁধা দেয়। এই বাধাদানকারী বলই
হচ্ছে প্লবতা বল। পদার্থবিজ্ঞানের সুত্রানুসারে, প্লবতা =
ঘনত্ব x আয়তন।
অর্থাৎ যত বেশি আয়তন তত
বেশি প্লবতা বল। বেশি আয়তনের অর্থ
হচ্ছে কম ঘনত্ব।
সেকারণে ফ্যাট মানুষেরা অনেক
স্মুথলি ডেড সীতে ভেসে থাকতে পারে। আরও কিছু কথাঃ
১) অতিরিক্ত লবনের কারনে এই সাগরের
ঢেউয়ে ও তীরে অনেক ফেনা জমে।
২) ডেড সী এর পানির লবনাক্ততা অন্যান্য
সাগরের লবনাক্ততার চেয়ে প্রায় ৮.৬ গুন
বেশি।
অনুসন্ধান করুনঃ
ফেসবুকে যোগ দিনঃ
হৃদয়ের অন্তস্থল থেকেঃ
জনপ্রিয় লেখাঃ
বিভাগঃ
- ই বুক (12)
- ইসলামিক (24)
- ওয়েব ডিজাইন (15)
- কবিতা (6)
- গল্প (11)
- গান (6)
- গিনেস বুক অফ ওয়াল্ড রেকডস (20)
- জীবনি (3)
- টিপস এন্ড ট্রিকস (41)
- টেক সংবাদ (62)
- ডাওনলোড (3)
- তথ্য প্রযুক্তি (9)
- প্রাণী বৈচিত্র্য (31)
- ফান জোন (3)
- বিস্ময়কর তথ্য (2)
- মোবাইলীয় (46)
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment