Monday, July 30, 2012

রোহিঙ্গা তরুণীরা ভয়াবহযৌন নির্যাতনের শিকার,চলছে বাধ্যতামূলক শ্রম

Leave a Comment
মিয়ানমারের
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর
বর্বর হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ
হয়নি।
সরকারি মদদে সেখানকার নির্যাতন-হত্যাকাণ্ডের
বর্ণনা দিয়েছেন ভারতে আশ্রয়
নেয়া উদ্বাস্তুরা।
তারা ইরানের ইংরেজি ভাষার
নিউজ চ্যানেল প্রেস
টিভিকে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের
নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর
ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে।
তারা জানান, "আমরা ভয়াবহ
অবস্থার মধ্যে জীবনযাপন
করছি। তরুণীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর
সদস্যরা অকথ্য যৌন নির্যাতন
চালাচ্ছে। তাদের অনেককে জোর
করে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন
চালানোর পর আবার ফেরত
দিয়েছে যাতে আমরা এ অবমাননা নিয়ে চিরদিন বসবাস
করি।" এ ছাড়া, বিবাহিত
নারীদের ধরে অজানা জায়গায়
নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং তাদের
দিয়ে কয়েক সপ্তাহ
এমনকি মাসব্যাপী জোর করে কাজ করানো হচ্ছে কিন্তু
বিনিময়ে কোনো অর্থকড়ি দেয়া হচ্ছে না।
তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
ধরে নিয়ে যাওয়া নারীদেরকে আর
ফেরত দেয়া হচ্ছে না।" পশ্চিম মিয়ানমার
থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানরা আরো জানিয়েছেন,
মিয়ানমার সরকার
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর
হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জম্মু শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়
নেয়া এক তরুণ জানান,
"আমরা যতই
লেখাপড়া করি না কেন
মিয়ানমারের
সরকারি চাকরিতে আমাদের কোনো স্থান নেই। শুধু
আমরা কৃষি ক্ষেতে কাজ
করতে পারি এবং কঠোর পরিশ্রম
করে ফসল ফলানোর পর সরকার
সেখান থেকে অর্ধেক ভাগ
নিয়ে নেয়। শুধুমাত্র তাই নয় সরকার
আমাদেরকে সেনাঘাঁটিতে জোর
করে ধরে নিয়ে কাজ করতে বাধ্য
করে। কিন্তু
বিনিময়ে কোনো অর্থকড়ি দেয়
না। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে পরক্ষণেই
তাকে হত্যা করা হয়।" মিয়ানমারের আরাকান
অঞ্চলে কয়েক
শতাব্দী ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানরা বসবাস
করলেও সরকার তাদেরকে ওই
দেশের নাগরিক বলে স্বীকার
করে না। এসব মুসলমান বহুদিন ধরে সেখানকার মগ ও বার্মিজ
জাতিগোষ্ঠীর হাতে ব্যাপক
নির্যাতনের শিকার
হয়ে আসছেন। সম্প্রতি, এ
নির্যাতনের
মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এবং সেখানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা শুরু হয়েছে। এ
অবস্থায় মিয়ানমারের
প্রেসিডেন্ট থিন সেইন
বলেছেন,
রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমার
ছেড়ে চলে গেলেই কেবল এ সমস্যার সমাধান হবে।

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment