Thursday, July 26, 2012

রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে

1 comment
প্রত্যেক মানুষই জীবনের
কোনো না কোনো সময় অন্যের ওপর
রাগ করেছেন অথবা অন্যের রাগের
শিকার হয়েছেন। রাগ কিন্তু রোগ নয়।
নয় কোনো মানসিক সমস্যা।
বরং প্রকৃত সুস্থ মানুষের সম্পর্ণ স্বাভাবিক একটি আবেগ বা ইমোশন।
সুস্থ মনের অত্যন্ত স্বাভাবিক
উপাদান এ রাগ। কোনো প্রণোদনার
কারণে সামান্য বিরক্তি থেকে শুরু
করে প্রবল উত্তেজনা,
ক্রোধোন্মত্ততা পর্যন্ত এ আবেগের বিস্তৃতি হতে পারে। যদি রাগ নামে এ
আবেগটিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ
করতে না পারি, যদি এ
আবেগটি অতি উচ্ছ্বসিত
আকারে প্রকাশ পায় তখন দেখা দেয়
নানা সমস্যা। সমস্যা হতে পারে মনোদৈহিক,
সমস্যা হতে পারে পারিপাশর্্িবক
সম্পর্কগুলোর (পরিবার, বন্ধু,
কর্মক্ষেত্রে) মধ্যে,
হতে পারে সামাজিক সমস্যা,
এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনি জটিলতায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মানুষের অন্যান্য আবেগের
মতো রাগের ফলে বেশ কিছু
শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন দেখা যায়,
হৃৎপিণ্ডের গতি ও রক্তচাপ বেড়ে যায়,
এড্রিনালিন এবং নরএড্রিনালিন হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এর
সঙ্গে সমনি¦ত হয় মস্তিষ্কের আবেগ
নিয়ন্ত্রণের কিছু কেন্দ্র (লিম্বিক
সিস্টেম, অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম)।
দেহের বাইরের কোনো প্রণোদনা যেমন-
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর প্রতিনিয়ত ফাঁকি দেওয়া, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম
বা পরিবারের কোনো সদস্যের
অনাকাক্সিক্ষত আচরণ এবং দেহের
ভেতরের কোনো প্রণোদনা যেমন-
ব্যক্তিগত
কোনো সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা বা অতীতের কোনো অপ্রাপ্তির
বেদনা থেকেও রাগের প্রকাশ
হতে পারে। অবদমিত রাগ
থেকে হতে পারে নানাবিধ মানসিক ও
শারীরিক সমস্যাথ
হতে পারে বিষণœতা, উচ্চ রক্তচাপ, খিটখিটে মেজাজ, বিশ্বনিন্দুক
চরিত্রের মালিক। কিছু পদ্ধতির
মাধ্যমে রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়,
নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে যার
চর্চা করলে আমরা রাগকে আয়ত্তে
আনতে পারব- ষ রাগের লাগাম হিসেবে যুক্তির বিকল্প
নেই, কারও ওপর বা কোনো ঘটনার
ওপর রাগ করলে ভেবে দেখুন
ঘটনাটি কেন ঘটেছে, আপনার রাগ
করার যথার্থ কারণ থাকলেও
নানামুখী যুক্তির প্রয়োগে আপনি সেই কারণটিকে একপাশে সরিয়ে রাখতে
পারেন।
ষ রাগের কোনো বিষয়কে কেবল নিজের
দিক থেকে না দেখে অপর পক্ষের দিক
থেকেও দেখার চেষ্টা করুন।
ষ বেশি রাগের ঘটনা ঘটলে প্রয়োজনে ঘটনাস্থল
থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে চলে যান।
ষ রাগের কারণ
ঘটলে নিজেকে যতটা সম্ভব রিলাক্স
করে ফেলুন, বড় করে শ্বাস নিন,
কোনো গঠনমূলক ছোট বাক্য (যেমন ‘ঠিক আছে’ ‘শান্ত হও’) বারবার
উচ্চারণ করতে পারেন।
ভালো কোনো সুন্দর দৃশ্য, আপনার
প্রিয়জনের
মুখচ্ছবি মনে করতে পারেন।
এছাড়া নিয়মিত হালকা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
ষ আলাপচারিতার সময় ‘কখনোই না’,
‘সবসময়ই’থ এ জাতীয় শব্দ পরিহার
করতে পারেন। নেতিবাচকতার
বদলে ইতিবাচকভাবে মনের ভাব
প্রকাশ করুন। ষ প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার
মধ্যে কিছু না কিছু সময় নিজেকে দিন।
নিজেকে নিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০
মিনিট ভাবুন।
? প্রয়োজনে রাগ নিয়ন্ত্রণ কৌশল
আয়ত্ত করার জন্য মনোচিকিৎসক/ মনোবিজ্ঞানী/কাউন্সিলরের সাহায্য
নিতে পারেন।

1 comment:

  1. খুব সুন্দর হয়েছে, আপনাকে থ্যাঙ্কস

    ReplyDelete