Friday, August 3, 2012

ব্রণ নিয়ে দুশ্চিন্তা ?

Leave a Comment
ত্বকের গঠন অত্যন্ত জটিল। এ
জটিলতম ত্বকে একাধিক কারণেও
বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়, এর
মধ্যে অন্যতম হলো ব্রণের সমস্যা।
ব্রণ মূলত টিনএজারদের সমস্যা। এ বয়সে যখন মুখের সৌন্দর্যের
প্রতি সবাই আকর্ষণ বোধ করে ও
প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ঠিক
সে বয়সেই মুখে এই
বিশ্রী গোটাগুলো দেখা দেয়, যা তাদের
অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ একটু সচেতন থাকলেই এ
সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব।
ব্রণ হওয়ার কারণঃ সাধারণত
বয়ঃসকিালে অথবা হরমোনের
প্রভাবে ব্রণ হয়ে থাকে। অনেক
ক্ষেত্রে বংশগত প্রভাবেও ব্রণ কমবেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ১৩
থেকে ১৯ বছর বয়সে এটি হয়। এ
বয়সেই কমবেশি ব্রণ হয়ে থাকে।
তবে ২০ বছর বয়সের পর
থেকে এগুলো স্বাভাবিকভাবেই
আস্তে আস্তে কমতে থাকে। যাদের মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাদের ব্রণ
তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।
ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়ঃ কিছু নিয়ম
অবলম্বন করলেই ব্রণ
থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অনেকের
ধারণা, কোনো বিশেষ খাবার খেলেই ব্রণ হয়ে থাকে। আসলে এটি ঠিক নয়।
কোনো খাবার খেলে যদি ব্রণের
সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সে
খাবারটি বাদ দিতে হবে। তবে প্রচুর
ফলমূল ও পানি খেতে হবে।
মুখে বেশি ব্রণ থাকলে রাসায়নিক কোনো উপাদান বা কসমেটিক ব্যবহার
করা ঠিক নয়, যথাসম্ভব প্রাকৃতিক
বা হারবাল জিনিস ব্যবহার করা ভালো।
কারণ
এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
অধিকাংশ ব্রণ নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে সেরে ফেলা সম্ভব।
ব্রণ প্রতিরোধে কিছু উপায়ঃ মূলত
ব্রণের জন্য সবচেয়ে বড় ওষুধ
হলো অপেক্ষা করা। ব্রণ নিয়ে কখনোই
বেশি চিন্তা করবেন না। ব্রণ দু-
একটা হবে আবার একাই চলে যাবে। অতিরিক্ত ব্রণ হলে একটা চিন্তার
বিষয়। তবে নিচের
পরামর্শগুলো অবশ্যই
মনে রাখা প্রয়োজন।
? ত্বক পরিষ্কার রাখুন।
মুখে ভালো সাবান মেখে দু-এক মিনিট রাখুন। পরে আস্তে আস্তে পরিষ্কার
করুন।
? অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন বা ফেস
স্ক্রাব ব্যবহার করুন।
? প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস। ? ত্বকে কোনো রকম অত্যাচার
করবেন না এবং হাত লাগাবেন না, ত্বক
কুচকাবেন না, খামচাবেন না,
গোটা খোঁটাখুঁটি করবেন না।
গোটা খুঁটলে হাতের জীবাণু
থেকে ইনফেকশন হয়, ফলে দাগ পড়ে যা সহজে সারে না। এ
ছাড়া ত্বকে আরো বিভিন্ন
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরের ঘাম দ্রুত মুছে ফেলুন।
? ওয়াটার বেজড মেকআপ ব্যবহার
করুন। তৈলাক্ত ক্রিম, লোশন বা মেকআপ ব্যবহার করবেন না ।
? প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন।

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment