পৃথিবীর বিস্ময় আতাকামা মরুভূমিতে গত ৪০০
বছরের ইতিহাসে যেখানে এক ফোঁটাবৃষ্টিও
ঝরেনি ।
কল্পনা করুন তো এমন একটি জায়গার
কথা যেখানে গত ৪০০ বছরের
ইতিহাসে কখনো এক ফোঁটা বৃষ্টি ঝরেনি। আমাদের কল্পনা প্রবণ মনও হয়ত
এটি মানতে চাইবেনা,হয়ত বলবে এটি স্রেফ
অসম্ভব।কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের এমন
একটি জায়গার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়
যেখানে বৃষ্টি হয়নি মানব ইতিহাসের
একটা বিশাল সময় ধরে। হ্যা আতাকামা মরুভুমি- পৃথিবীর বুকে এক গভীর
বিস্ময়।
পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্কতম স্থান এই
আতাকামা মরুভূমি।বিজ্ঞানীরা এই মরুভুমির
প্রকৃত সংজ্ঞা দেওয়ার জন্য একে বলে থাকেন
absolute desert ।ক্লাইমেটলজিস্ট দের মতে এখানে প্রায়১৫৭০ সাল থেকে ১৯৭১ সাল
পর্যন্ত কোন বৃষ্টিই হয়নি।তাদের
মতেএখানে প্রতিএকশ বছরে গড়ে ৩
থেকে ৪বার বৃষ্টি হয়।অবশ্য গত তিন
চারশো বছরে এই নিয়মের ব্যাতিক্রম
দেখা যায়। চিলির একটি বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে এই
মরুভূমির বিস্তার।এর
একদিকে রয়েছে প্রশান্ত মহাসগরের
অথৈ জলরাশিঅন্যদিকে আন্দিজ পর্বতমালা।
আতাকা মা মুরুভুমিটি প্রায় ১০০০ কিলোমিটার
দীর্ঘ।এত বিশাল একটি জায়গায় যেখানেহাজার রকমের প্রাণী আর উদ্ভিদ
বৈচিত্র্য থাকার কথা ছিল যুগের পর
যুগবৃষ্টিহীনতার কারনে এখানকার
পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।মাইলের পর মাইল
হেঁটে গেলেও দেখা পাবেন না কোন উদ্ভিদ
বা প্রাণীর। আরও একটি অবাক করা বিষয় হল
এতটা অনাবৃষ্টি আর পৃথিবীর শুষ্কতম স্থান
হওয়ার পর এই জায়গাটির তাপমাত্রা কম ই
বলা চলে।গ্রীষ্মকালে ও এখানকার গড়
তাপমাত্রা ১৮-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
এরমধ্যে থাকে।সত্যিই অদ্ভুত!এত প্রতিকুলতা সত্তেও এই মরুভুমির আশেপাশের
এলাকায় প্রায় দশ লক্ষ মানুষ বাস করে।
নাসার মতে আতাকামার মাটির
সাথে নাকি মঙ্গলগ্রহের মাটির অনেক মিল
আছে।আর এই জন্যই মুভি সিনেমাতে মঙ্গল
গ্রহের দৃশ্যগুলোর শুটিং কিন্তু এখানেই হয়।
অনুসন্ধান করুনঃ
ফেসবুকে যোগ দিনঃ
হৃদয়ের অন্তস্থল থেকেঃ
জনপ্রিয় লেখাঃ
বিভাগঃ
- ই বুক (12)
- ইসলামিক (24)
- ওয়েব ডিজাইন (15)
- কবিতা (6)
- গল্প (11)
- গান (6)
- গিনেস বুক অফ ওয়াল্ড রেকডস (20)
- জীবনি (3)
- টিপস এন্ড ট্রিকস (41)
- টেক সংবাদ (62)
- ডাওনলোড (3)
- তথ্য প্রযুক্তি (9)
- প্রাণী বৈচিত্র্য (31)
- ফান জোন (3)
- বিস্ময়কর তথ্য (2)
- মোবাইলীয় (46)
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment